স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ড নিয়ে তুমুল সমালোচনা। বহু আগে, কবে কোন সময় দেয়া ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল সমালোচনা। যে কারণে বিসিবির কাছে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে। অথচ, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের একমাত্র যে জয়টি, ভারতের বিপক্ষে সেই জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন এই তানজিম হাসান সাকিব। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কও ছিলেন তিনি।
কিন্তু একটি ছেলে ধার্মিক হওয়ার কারণে কিছু মানুষের তুমুল রোষের শিকার হতে হলো। তবুও, পারফরমারকে কখনো আড়াল করা যায় না। ভারতের বিপক্ষে যে আগ্রাসন নিয়ে বোলিং করেছিলেন, সে কারণেই বিশ্বকাপের দলে বাজিমাত করে দিলেন তরুণ এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন। প্রথম ম্যাচে যে কয়েক ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাতে নিজের ক্যারিশমা দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উরুর ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিটকে পড়েন তানজিম সাকিব।
পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে পেসার খালেদ আহমেদও নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেন। নিউজিল্যান্ডের ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে, বিশ্বকাপে পঞ্চম পেসারের কোটায় খালেদও নিজেকে অন্তর্ভূক্তির জোর দাবি তুলে ধরেন।
তবে শেষ পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্ট তারুণ্যের পথেই হেঁটেছে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে যে গতি আর বিধ্বংসীরূপ নিয়ে বোলিং করেছেন তানজিম সাকিব, সেটাই তাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা এনে দিয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড ১৫ সদস্যের। এখানে ৫জন রাখা হয়েছে পেসার। আগে থেকেই বলা ছিল, ৫জন পেসারকে রাখা হবে। এবাদত হোসেন ছিলেন এই ৫ জনের অপরিহার্য সদস্য। কিন্তু হাঁটুর ইনজুরি তাকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছে। সে জায়গাটায় সুযোগ পেয়ে গেলেন তানজিম হাসান সাকিব।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৫ পেসার হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিব।